মেঘনা উপকূলে নৌকায় চড়ে পাখি জরিপের কাজ চলে প্রতি শীতেই। আর এ কাজ যোগ দিচ্ছি প্রায় ২০ বছর ধরে। পাখির পাশাপাশি একটি জলজ প্রাণীর দেখা সব সময়ই পাই—নাম তার ইরাবতি ডলফিন। পুরো পৃথিবীর মধ্যে আমাদের দেশের উপকূলেই সবচেয়ে বেশি ডলফিনটির বসবাস। এ দেশের মিঠা পানির নদীর সবার চেনা ডিলফিনটির নাম শুশুক। নদীর ধারে গেলেই প্রাণীটিকে হুস করে লাফিয়ে উঠতে দেখা যায়। একসময় সারা দেশের প্রায় সব মিঠা পানির নদীতে শুশুক ছিল। এখন তা একেবারেই কমে গেছে। তবে উপকূলজুড়ে ইরাবতি ডলফিন বেশ ভাল সংখ্যায় টিকে আছে।
উপকূলীয় নদীগুলোতে ইরাবতি ডলফিনের বেশি বিচরণ। শীতে এই ডলফিনগুলো একেবারেই মিঠা পানির নদীর সংযোগ নদীগুলোতে চলে আসে। প্রতিবছরই ভৈরব–রুপসা আতাই নদীতে এর দেখা পাই। ভোলার চর মমতাজ থেকে সোনার চর যাওয়ার পথে প্রতিবছরই একটি বড় দলের দেখা মেলে। সোনাদিয়া যাওয়ার পথে বাঁকখালী নদীতেও ইরাবতি ডলফিনের ভালো বিচরণ আছে। আর সুন্দরবন হলো ইরাবতি ডলফিনের বড় অভয়ারণ্য। প্রায় সাড়ে ৪০০ ইরাবতির বসবাস সুন্দবনের উপকূল ও নদীতে। অন্যদিকে শুশুক দেখা যায় ২২৫টি।
আপনার মতামত লিখুন :