‘নদীর পানির স্রোতে শোগ শেষ হইছে। টাকার পোঁটলা পানিত ভাসি গেইছে, সেইটা খুঁজতোছি। ভাঙি যাওয়া ভিটা ও ভাঙা ঘরের ভেতর যদি কিছু পাওয়া যায়, তা হাতরে বেড়াইতোছে।’ নদীভাঙন ও বন্যাদুর্গত রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের বাগেরহাট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইব্রাহিম মিয়া আজ রোববার সকালে এসব কথা বলেন। এবারের আকস্মিক বন্যায় ইব্রাহিমের মতো গ্রামের আরও অনেকের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি ফসলও বিনষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ফসলের ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে নষ্ট হওয়া আলু, মিষ্টি কুমড়া, বাদামসহ রবি ফসল আবারও নতুন করে কৃষকদের লাগাতে হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা বাগেরহাট, পশ্চিম ইছলি, বিনবিনা, মটুকপুর ও মহিপুর থেকে পানি নেমে গেছে। কিন্তু দুর্ভোগ কমেনি, বরং বেড়েছে। বিধ্বস্ত ঘরবাড়িগুলো ঠিকঠাক করারও কোনো উপায় নেই। কারণ পুরোটাই ধসে গেছে। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, অধিকাংশ মানুষ বাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :