দিল্লির সম্রাট আকবরের শাসনামলে তৎকালীন বাংলায় যে ১২ ভূঁইয়া ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পাঠান বংশোদ্ভূত ভাওয়াল গাজী। এই ভূঁইয়ারা তৎকালে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। ভাওয়াল গাজী যে এলাকায় স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেছিলেন, তাঁর নামানুসারে নামকরণ হয়েছিল ভাওয়াল পরগনা। চণ্ডাল রাজাদের পতনের পর ভাওয়াল অঞ্চলে গাজী বংশের উত্থান ঘটে। পরে গাজী বংশের নামানুসারে এর নাম হয় গাজীপুর।
মোগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গাজীপুরের মানুষের রয়েছে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বে গাজীপুরেই সংঘটিত হয় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। গাজীপুরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের একমাত্র হাইটেক সিটিসহ বহু সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারী শিল্পকারখানাসহ দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের বড় অংশ।
আপনার মতামত লিখুন :