নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সড়কগুলো এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় জেলার ৫টি উপজেলায় ১১০৪টি পাকা ও আংশিক পাকা সড়ক এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ যে সব রাস্তা ইতিমধ্যে পাকাকরণ করা হয়েছে তা করার নি¤œমানের কাজ এবং সঠিক তদারকি করেনি এলজিইডি ফলে বার বার মেরামত ও সংস্কার করার পরও ভেঙ্গে পড়ে। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলে দূর্ভোগে পরিণত হয়েছে মানুষের।এসব সড়কের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। চলমান বর্ষায় বৃষ্টির পানি আর কাদা মাটির মাখামাখিতে হেলে-দুলে চলছে যানবাহন, প্রতিনিয়ত নানা দূর্ঘটনাও ঘটছে এসব সড়কে।
ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে বিপন্ন হয়ে উঠেছে জনজীবন, নাভিশ^াসে জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ।
সদর উপজেলার মান্দারী- আমিন বাজার সড়ক, পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ-ভবের হাট সড়কে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা গুলো মাত্র ৪ বছর পূর্বে সংস্কার ও মেরামত করা হলেও কাজে অনিয়ম ও দূনীতির কারনে এখন সেই সড়ক বেহলা দশায় পরিণত হয়েছে।এদিকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন গ্রামীণ এসব সড়ক সংস্কারের যে চাহিদা রয়েছে এর তুলনায় সরকারের বরাদ্ধ অনেক কম হওয়ায় দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন মানুষ। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের কার্য নিবাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক মো: রবিউল ইসলাম খান বলেন, সঠিক তদারকি, ঠিকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না করায় বেশীর ভাগ কাজে অনিয়ম হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনা ও টেন্ডার জালিয়াতির এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর মাদ্রাসা (আরএসডি টু আরএসডি) সড়কটি ২০০৯ সালে কোটি টাকা ব্যায়ে পাকা করণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ৫ কিলোমিটারের এ সড়কটি স্থানীয় মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাট-জেলা শহরের বাস টার্মিনাল ও রামগতির সঙ্গে সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সড়ক নির্মাণের পর থেকে আর কোন সংস্কার কাজ হয়নি। এতে করে বর্তমানে পুরো সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। কলো পিচ ঢালাইয়ের রাস্তায় এখন লাল আবরণের ইটের বিক্ষিপ্ত কণা আর বালির দেখা মেলে সর্বত্রে। ভারী যানবাহন চলাচলে বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে কাদামাটি ও পানিতে মাখামাখি হয়ে রাস্তাজুড়ে অসংখ্যছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এখন। এতে করে বর্তমানে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে এ সড়কটি। এতে করে দূর্ভোগ বেড়েছে যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়দের। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানান যাত্রীসহ সাধারণ বাসিন্দারা।
শুধু এ সড়কটিই নয় একই এলাকার পশ্চিম টুমচর টু পানা মিয়া হাজী বাড়ী সড়ক, টুমচর ইউনিয়ন পরিষদ টু আইয়ুব আলী ব্রীজ সড়ক, টুমচর বাজার টু কালিরচর বাজার সড়কসহ জেলার ৫টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এলজিইডির অধিকাংশ সড়কের এমন বেহাল অবস্থা।
এলজিইডির তথ্য মতে জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ১হাজার ২শ’ ৪৮টি পাকা ও আংশিক পাকা সড়ক রয়েছে এলজিইডি’র। চলতি বছর সংস্কার করা হয়েছে ১৪৪টি সড়কের। বাকি সড়কগুলো একেবারেই ঝরাজীর্ন ও নাজুক অবস্থায় রযেছে। এসব সড়ক দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিপন্ন হয়ে উঠেছে জনজীবন। নাভিশ^াসে রয়েছে জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। সরকারের কাছে এসব সড়ক সংস্কারের দাবী জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহআলম পাটোয়ারী জানান, সরকারের বরাদ্ধ সল্পতার কারণ ও দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী প্রতিবছর বরাদ্ধ আসছে অনেক কম। এতে করে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেবেচনার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে রাস্তাগুলো সংস্কারে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :