Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

পাবনার সাঁথিয়ায় স্বামী-স্ত্রী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা


প্রকাশের সময় : ২ years ago
পাবনার সাঁথিয়ায় স্বামী-স্ত্রী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা

ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে কলহে পাবনার সাঁথিয়ায় স্বামী-স্ত্রী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। নিহত দম্পত্তি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মানপুর গ্রামের মানিক হোসেনের মেয়ে মারিয়া খাতুন ও একই উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের রমজান আলী ব্যাপারীর ছেলে রাকিব ব্যাপারী।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক ব্যবহারকে কেন্দ্র করে মারিয়া ও তার স্বামীর মধ্যে কলহ হয়। পরে মারিয়া কীটনাশক পান করে। স্বজনরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে দুদিন পর বাড়ি নিয়ে যায়। হঠাৎ করে শনিবার সকালে মারিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পথেই বিকেলে মারা যায় মারিয়া। এরপর মরদেহের সুরতহাল শেষে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর দাফন-কাফন শেষ করে সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাকিব। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ভোরে মারা যায় রাকিব। রোববার সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানায়, রাকিব ও মারিয়া মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পারিবারিকভাবে তাদের বছর খানেক আগে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যে সালিশও হতো গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে। এরপরও দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।

মারিয়ার বাবা মানিক হোসেন বলেন, পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। মেয়েকে মাঝেমধ্যে নির্যাতন করত জামাই। মনোমালিন্য করে আমার বাড়িতে চলে আসত মেয়ে। পরে আবার বুঝিয়ে জামাই বাড়িতে রেখে আসতাম। দুজনই যেহেতু মারা গেছে সেই ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দাবি নেই। তবে বাবা হিসেবে আমি এখন নিঃস্ব।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সেটার আলোকে রোববার বিকেলে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন মেয়ের চাচা আনিছুর রহমান।