প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে নববধূ নুর জাহান স্মৃতি ১৫ দিন কারাবরণ করা পর জামিনে মুক্তি পান। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিয়ে, স্ত্রীকে দেন মোহন বাবত ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান। পরবর্তীতে ঐ চেক ফেরত নিয়ে যান রাশিয়ান প্রবাসী খোকনের বড় ভাই আবুল খায়ের মানিক এমনে অভিযোগ করেন নববধূর নানা ছালেহ আহম্মদ ।
স্থানীয় এলাকার হামিদুর রহমান টিটু ভূইয়া, ইব্রাহিম খলিল, নিজাম উদ্দিন,আবু ছিদ্দিক,আলী হায়দার,খোকন জানায়, কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালি গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে রাশিয়ান প্রবাসীর মোঃ খোকন সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার কাবিনে মূল্য নিধারন করে মুঠোফোনে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ২০২০ ইং লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার গ্রামের মৃত নুর নবী মেয়ে নুর জাহান স্মৃতি বিয়ে হয়। এতে ১০ লক্ষ টাকার অগ্রিম দেনমোহন বাবত হাজীর হাট শাখার ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক কনের নামে প্রদান করেন বরের বড় ভাই আবুল খায়ের মানিক। যাহার হিসাব নং ৩৮৬৪, চেক নং ৪৪২২৪০৩ শর্ত থাকে দেশে ফিরে কাবিন নামা রেজিস্ট্রার করে চেকটি ফেরত নিয়ে যাবে।
বিয়ের কিছু দিন পর জানা যার সে রাশিয়া প্রবাসী নয় বাহারাইন প্রবাসী। সেই প্রতারনা করে স্মৃতিকে বিয়ে করে।
৩০ মার্চ ২০২১ ইং প্রবাসী খোকন বাংলাদেশে ফিরে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে থেকে কাউকে না জানিয়ে জোর পূর্বক স্মৃতিকে ঢাকা তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ দিন যাবত আটক রাখা হয়। এ ঘটনায় খোকনের বিরুদ্ধে কোর্ট জিডি করা হয়। যাহার জিডি নং ৮২/২১ ইং।
পরে ১৯ জুন ২০২১ ইং ফের সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কনে পক্ষ বর পক্ষ ১০ লক্ষ টাকা কাবিননামা চুক্তি করা হয়। স্বাক্ষীগণের সামনে চেক খানা বর পক্ষ কাজি জহির উদ্দিনের মাধ্যমে ফেরত নেয় বরের বড় ভাই মানিক।
বিয়ে পর ৫ দিন যাবত শশুর বাড়িতে স্মৃতিকে লোমহর্ষক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ তুলেন স্বামী পরিবারের বিরুদ্ধে নববধূ নুর জাহান স্মৃতি।
১৯ জুলাই নুর জাহান স্মৃতি স্বামী খোকনকে তালাকে নোটিশ প্রদান করেন। পরে আসামী মানিক, তার ভাই প্রবাসী খোকন মুঠোফোনে হুুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং আবুল খায়ের মানিক বাদী হয়ে তার নিজের নামের হাজির হাট শাখার ইসলামী ব্যাংক হিসাব নং ৩৮৬৪, চেক নং ৪৪২২৪০২ দশ লাখ টাকা অগ্রিম কাবিন নামা দেখিয়ে কমল নগর থানায় কনে পক্ষের ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার জিআর নং ১০৮/২১ ইং। এ মামলা আসামী স্মৃতি ১৫ দিন কারাবরণ করেন। অন্য ৬ জন আসামী জামিন রয়েছে। বাদী পক্ষের প্রদানকৃত চেক নং ৪৪২২৪০৩ কিন্তু এ চেকটি আসামী পক্ষ ফেরত নিয়ে যায়। ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার যে মামলাটি সাজিয়েছে আবুল খায়ের মানিক তা মিথ্যা ভিক্তিহীন বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সে একজন প্রতারক হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
মামলার বাদী ছালেহ আহম্মেদ বলেন, নিরুপায় হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং। বর পক্ষ আবুল খায়ের মানিককে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর জুডিসিয়াল আদালতে জাল জালিয়াতি ও প্রতারনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং ৮৮০/২১ ইং। এ মামলার তদন্তধীন করছে নোয়াখালী পিবিএ।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানায়, ১০ লাখ টাকা চেকের টাকার বিষয়ে ব্যাংক থেকে কোন নগদ টাকা উত্তোলন করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :