Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

রায়পুরে ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬ টি ভোট কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
রায়পুরে ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬ টি ভোট কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ

প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬ টি ভোট কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত প্রার্থীরা। আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।এর মধ্যে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপুর্ণ ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এক নৌকা ও ৪ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোটাররা । তবে প্রশাসন বলছেন, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,, উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউনিয়নের ৯৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬ ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে গত সোমবার দুপুরে সোনাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত তার বাড়ির সামনে গোপন কেন্দ্র তৈরি করে রাখে।
এ সংবাদ পেয়ে ইউএনও, রির্টানিং কর্মকর্তা ও ওসি পরিদর্শন করে কেন্দ্রটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন।
রায়পুরের ঝুঁকিপুর্ণ-কেন্দ্রগুলো হলো- উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নে ৯টির মধ্যে ৯টিই কেন্দ্রই ঝুকিপুর্ণ। উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে ১৩টির মধ্যে ৮টি ঝুঁকিপুর্ণ। চরমোহনা ইউনিয়নে ১১টির মধ্যে ৬টি ঝুকিপুর্ণ। চরপাতা ইউনিয়নে ৯টির মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের স্কুল কেন্দ্রসহ ৭টি কেন্দ্র ঝঁকিপুর্ণ। কেরোয়া ইউনিয়নে ১২টির মধ্যে ১০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ণ। বামনী ইউনিয়নের ৯টির মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ণ। দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নে ৯টির মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুকিপুর্ণ। দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নে ৯টির মধ্যে ৬টি ঝুকিপুর্ণ এবং রায়পুর ইউনিয়নে ৯টির মধ্যে ৬টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করে নির্বাচন কমিশন, গোয়েন্দা ও উপজেলা-প্রশাসন।
দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আখনবাজার গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান (৫৫) বলেন, সব কয়টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ণ। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবো কি না তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। একই বক্তব্য দেন, কেরোয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোজাম্মেলের বাড়ির এলাকার মোঃ আলম চরপাতার মোঃ জুয়েল– মীরগঞ্জের মোঃ সাহাদাত।
উত্তর চরবংশী ইউপি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ মোল্লা, উত্তর চরআবাবিল ইউপির নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্লাহ, চরপাতা ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম, সোনাপুর ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ হোসেন ও সোনাপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী বাবুল পাটোয়ারী বলেন, তাদের প্রতিদন্দ্বি প্রার্থীরা প্রতিদিন বহিরাগতদের এনে মিছিল-মিটিং করছেন। এতে তারা কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকি মনে করে রির্টানিং কর্মকর্তাও ওসির কাছে অভিযোগ করেন।
চরপাতা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম বলেন, এসব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহন নিয়ে শঙ্কাই রয়েছি। পুরো ইউনিয়নটা ঝুঁকিপুর্ণ। বর্তমানে ‘আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। নৌকার প্রার্থী সুলতান মামুন রশিদের লোকজন হুমকি দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে না দাঁড়ালে আমার ও লোকদের তুলে নেবে। প্রতিদিন আমার সমর্থকদের মারধর করাসহ এজেন্ট না করার হুমকি দিচ্ছে। বাড়িথেকে বেরহতে দিচ্ছে না।
উত্তর চরআবাবিল ইউপির নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ বলেন, দলের বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক জাফর আহাম্মদ দুলাল হাওলাদার বহিরাগতদের নিয়ে প্রতিদিন মিছিল মিটিং ও সভা করছে। প্রায় কেন্দ্রই ঝুঁকিপুর্ণ বলে তিনি দাবি করেন।
রায়পুরে নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা জানান, ২৮ নভেম্বর ৫ম ধাপের নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনে ৮৬ জন ও সাধারন ওয়ার্ডে সদস্য ৩৮২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তার মধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান, চারজন সংরক্ষিত ও সাধারন ওয়ার্ডের সদস্য ৭জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ১০ ইউপির ৯৯ কেন্দ্রের ৪৫৬টি কক্ষে ভোট গ্রহন হবে। ৬৬টি কেন্দ্রকেই ঝুকিপুর্ণ কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা গুলোতে পর্যাপ্ত শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যম্যান আদালত, ষ্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ১০টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান- মেম্বার প্রার্থী ও পুলিশ-গ্রামপুলিশ সদস্যদের নিয়ে পৃথক পৃথক বৈঠক করে সতর্ক থাকতে বলা হয়।