Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

রামগঞ্জ চন্ডিপুর ইউপি নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৩৭টি ব্যালট পেপার বাতিল করেন।


প্রকাশের সময় : ২ years ago
রামগঞ্জ চন্ডিপুর ইউপি নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৩৭টি ব্যালট পেপার বাতিল করেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে জোর করে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৩৭টি ব্যালট পেপার বাতিল করেন।এ সম্পর্কে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারার কারণে ৩৭টি ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান আয়েশা আক্তার। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের ৯ নম্বর নারী বুথে ভোট দিতে যাই। কর্মকর্তারা তিনটি ব্যালট পেপার দেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ছিল। ভোট না দিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে যাই।’

ওই বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, কয়েকজন যুবক ভোটকক্ষে প্রবেশ করে জোর করে তাঁর কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন। পরে তাঁরা ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে রাখেন। ঘটনাটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানান।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল ইসলাম। তিনি অবৈধভাবে ব্যালট পেপারে সিল মারার প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ির পাশের কেন্দ্রটিতে তাঁর লোকজন প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’

ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন ভূঁইয়ার বাড়ি। এ সময় কামাল হোসেন ভূঁইয়াও কেন্দ্রে আসেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ সঠিক নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিথ্যাচার করছেন।চন্ডিপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামসুল ইসলাম। এ জন্য উপজেলা আওয়ামী সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।