লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি ব্রিজের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী। চরপাতা ইউনিয়নের রায়পুর-বংশাল সংযোগস্থলে (রায়পুর-ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা) ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের উপর মুরুলির চর নামক স্থানে ১৯৯৭ সালে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজটি দুই মাস যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
ব্রিজের উপর সিমেন্টের তৈরি (বড় গর্ত) হওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন চলাচলকারী প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে বলে গ্রামবাসীদের আশ্বাস প্রদান করেছেন।
বিধ্বস্ত এই ব্রিজটির একদম বিকলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যা চলাচলের একদম অযোগ্য। সীমাহীন এ দুর্ভোগে পড়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও একটি মাদরাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। সরেজমিন জানা যায়, ব্রিজের মাঝখানে (গর্ত) ভেঙে যাওয়াসহ এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন মোটরবাইক চলাও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেল পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় কেউ মেরামতও করে দেননা।
কিন্তু যোগাযোগের তাগিদে প্রতিনিয়ত এ ব্রিজ দিয়ে মোটরবাইক, রিকশা, ভ্যান, সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারণে এখন তা ভেঙে গেছে। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা।
স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক দিদার হোসেন দেলু বলেন, ‘৯০-এর দশকে নির্মিত এই সেতুটি নির্মান হলেও মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। মাঝে মধ্যে শুনি টেন্ডার হয়েছে, তবে মেরামত কবে হবে জানা নেই। চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সুলতান মামুন রশিদ বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতোমধ্যে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে; অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার দেয়া হবে। রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন,রায়পুর-ফরিদগঞ্জ দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের উপর এই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউএনও এবং প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শণ করেছি। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :