লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে শিক্ষিকা (অবঃ) গীতা রানী পালকে (৭২) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ৪ দিনেও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। ফলে অনেকটা হতাশ তার পরিবার স্বজনসহ এলাকাবাসী। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন গীতা রানীর পরিবার।
নিহত গীতা রানী পাল উপজেলার কেরোয়া ইউপির উত্তর করোয়া গ্রামের পাল বাড়ীর বৃদ্ধ দ্বীনেশ চন্দ্র পালের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী।
এসময় লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, মংথাই মারমা, ওসি শিপন বড়ুয়া, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল, মামলার বাদী বিপ্লব বিহারি পাল উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গীতা রানী পাল প্রায় দশ বছর আগে পূর্ব সদর উপজেলার মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। তার স্বামী মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক—সহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে কক্সবাজারের রেলওয়ে প্রজেক্টের হিসাব রক্ষক। গীতা রানী ও তার স্বামী বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।
গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর তিনটার সময় গীতা রানী ও তার স্বামী খাবার খেয়ে তারা পৃথক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। বিকাল ৫টার সময় গীতা রানীকে খাটের মধ্যে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বামী চিৎকার দিলে পাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে সংবাদ দেন।
এসময় দুর্বৃত্তরা গীতাকে বালিশ চাপা দিয়ে তার কান, গলা ও হাত থেকে দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। তিন ঘন্টা পর পুলিশ এসে গীতা রানীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে তাদের পারিবারিকভাবে শেষকৃত্য শেষ করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে বিপ্লব বিহারি পাল বাদী হয়ে রায়পুর থানায় ঘটনার পরের দিন বুধবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় রীনা রানী নামের এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শরীরে মাথার কপালে,কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যা পূর্বপরিকল্পিত ও প্রতিহিংসামূলক হত্যাকাণ্ড বলে পরিবারের ধারণা।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পরও পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় গীতা রানী ও তার পরিবারের মধ্যে যেমন করে হতাশার সৃষ্টি হয়।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা বৃদ্ধা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনি কিভাবে মারা গেলেন বা তাকে কেন হত্যা করা হলো তা গভীর ভাবে তদন্ত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :