Exif_JPEG_420
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের পৌর মেয়র রুবেল ভাটসহ ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার অবৈধ লাইসেন্স বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবৈধ লাইসেন্স প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে অটোরিকশা মালিক—শ্রমিকরা।
এসময় বিআরটিএ কর্তৃক ইজিবাইকের লাইসেন্স দাবী করেন তারা। রায়পুর রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন ইজিবাইক শ্রমিকরা।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা রিকশা, ব্যাটারী রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিলন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল রিয়াদ, সিনিয়র সহ—সভাপতি মফিজুর রহমান মাষ্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদ, রায়পুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা পেশার সাথে জড়িত রয়েছে। যা ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে মহাসড়ক ব্যতিত সর্বত্র থ্রি হুইলার চলতে পারবে মর্মে রায় দেন। সে অনুযায়ী গত ২৫ আগস্ট বিআরটিএ সভায়ও সিদ্ধান্ত হয়। অথচ রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাট ও কেরোয়া ও চরপাতাসহ ১০ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানগণ অবৈধভাবে ইজিবাইকের ২৬০০ টাকা ও রিকশা ৮০০ টাকাসহ বিভিন্ন হারে ন্যামপ্লেটসহ লাইসেন্স দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এছাড়াও প্রতিদিন ১০ টাকা হারে টোল আদায় করা হয় ৷এতে সরকার রাজস্ব বি ত হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, ইউনিয়নের ইজিবাইক পৌরসভার প্রবেশ করলে গাড়ির টায়ার লিক করে দেয়াসহ গাড়ি আটক রাখা হয়। এতে টাকা দিয়ে ছাড়াতে হয়। এঘটনায় অবৈধ লাইসেন্স বাণিজ্য বন্ধ করে দ্রুত বিআরটিএ কর্তৃক বৈধ লাইসেন্সের দাবী জানানো হয়। এতে সরকারের বিপুল পরিমানে রাজস্ব আয় হবে। মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের এ অবৈধ লাইসেন্স বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকরা।
অবৈধ লাইসেন্স বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাট কে একাধিকবার ফোনে কল করেও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুলতান মামুন রশিদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বৈঠকের মাধ্যমে ইউএনওর নির্দেশেই রায়পুর পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়ন থেকে রিকশা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এতে তার ইউনিয়নে ৯১টি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তবে পরিষদের কোন নীতিমালায় এ সিদ্ধান্ত নেই। তারা না চাইলে দেবো না।
এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্জন দাস বলেন, আইগত ভাবে লাইসেন্স দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ইজিবাইক চলাচলে ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে ঝামেলা নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো, তবে তাদের কতগুলো চালক আছে, তার তালিকা করতে বলেছি। কিন্তু লাইসেন্স দিতে বলিনি। এ বিষয়ে খেঁাজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :