প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মোটরসাইকেল মালিকদের মধ্যে আবার চুরির আতঙ্ক শুরু হয়েছে। চোর চক্রটি আবার এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার মোটরসাইকেল চুরি শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে এক সংবাদকর্মীর নতুন একটিসহ ২০টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় থানায় একাধিক ব্যক্তি সাধারন ডায়রি করলেও কোন মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। তবে গত রোববার সন্দেহজনকভাবে চোর শিশিরসহ দুই যুবককে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তাদের কাছ থেকে চুরির কোন বড় ধরনের তথ্য পাইনি।
স্থানীয়ে সংবাদকর্মী পীরজাদা মাসুদ হোসাইন বলেন, গত মঙ্গলবার মাগরীবের নামাজ পড়ার সময় রায়পুর মীরগঞ্জ রোডের ফারুকীয়া মাদ্রাসার সামনের বাসা থেকে মোটর সাইকেলের তালা ভেঙে চোরচক্র তার (লক্ষ্মীপুর-ল ১১- ১৭১৬ জিক্সার এসএফ) মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।
তার কয়েকদিন আগে দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগেরসহ সভাপতি কাজী গুলজার এর ছেলে ছাত্রনেতা কাজী হেমায়েত কাদের পানুর মোটর সাইকেল, পৌর আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ জুটনের ভাই খোকনের এবং নতুন বাজারের ব্যাবসায়ী বিএনপি নেতা মোঃ সেলিমের মোটরসাইকেল চোরচক্র নিয়ে যায়। একাধিক ব্যক্তি থানায় জিডি করার পরও এখনো উদ্ধার হয়নি।
তিনি আরো বলেন, চোরচক্রের সদস্যের মধ্যে রায়পুর নতুনবাজারের শিশির, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তছলিম উদ্দীনের ছেলে পারভেজ, পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের বয়াতী বাড়ির আস্বাদ আলীর ছেলে মঞ্জু, কালির ছেলে মাসুদ, বিচি ফারুক, রহিম শাহীন অন্যতম। এদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। এদের দু-একজন মাঝে মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনে এসে তারা একই কাজ করে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, সংবাদকর্মী পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইনের বাইক চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে সন্দেহজনক তিনজন বাইক চোরকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার এবং চোরচক্রকে আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য- রায়পুরে গত বছরে অন্তত ৩৫টি মোটরসাইকেল ও ২০টি অটোরিকশা এবং চলতি বছরের গত ৮ মাসে প্রায় ৫০টির মত মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হলে তা উদ্ধার হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :