প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অটোরিকশার যাত্রী সেজে চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও ছুরি দিয়ে আঘাত করায় রিপন হোসেন নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ছিনতাইকৃত অটোরিকশাসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) ভোরে রামগঞ্জ পৌর শহরের আঙ্গারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার দিন ভিকটিম রিপনের মেয়ে জামাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, নোয়াখালীর সুন্দরপুর ও চরজব্বার এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত রিপন রামগঞ্জ পৌর শহরের কাজিরখীল এলাকার মনির উদ্দিন বেপারী বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে।
আটকরা হলেন, রামগঞ্জের দরবেশপুর এলাকার মোক্তার হোসেন দেওয়ানের ছেলে হৃদয়, নোয়াখালীর চাটখিলের মধ্য সোন্দরপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে সুজন ও চরজব্বর থানার আলী আজগর হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ঘটনার দিন ভোরে রিপন রামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী হৃদয়কে নিয়ে শহরের আঙ্গারপাড়া এলাকায় যায়। হৃদয় রিকশা থেকে নেমে কৌশলে সামনে রিপনের সঙ্গে বসে। এসময় হৃদয় তার চোখে মরিচের গুড়া মেরে রিকশাটি ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে উপুর্যপুরি আঘাত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় পেলে রেখে হৃদয় রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশাটি সুজনের কাছে রেখে ১ হাজার টাকা নিয়ে হৃদয় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চলে যায়। পরে সুজন রিকশাটি বেলালের কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরমধ্যে সুজন বিকাশের মাধ্যমে হৃদয়কে ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। ঘটনার সময় ব্যবহৃত ছুরিটি রামগঞ্জের দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর এলাকার খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। বেলালের কাছ থেকে রিকশাটিও জব্দ করা হয়েছে। গুরুতর আহত রিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয়কে গ্রেফতার করা হলে তার তথ্য অনুযায়ী অন্য দুইজনকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :