Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় হামলা


প্রকাশের সময় : ২ years ago
বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় হামলা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইলে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নেংড়ার বাজারে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিকরাইল বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী ওঠান বৈঠকে যাওয়ার পথে আকস্মিক হামলা চালায় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মতিন সরকারের সমর্থকরা। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ১০জন কর্মী আহত হয়। এ সময় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা বিদ্রোহী প্রার্থীর ১টি মাইক্রোবাস ভাংচুর ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

এতে আতংকে রয়েছে সাধারণ ভোটারগণ ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুর আলম মন্ডল নুহু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মিছিল নিয়ে নিকরাইল যাওয়ার পথে নেংড়ার বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকারের সমর্থকরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এছাড়াও ৭ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরে মাসুদ মামার নির্বাচনী মাইক ভাংচুর ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছেন তারা।

বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকার ও তার সমর্থকরা বিভিন্নভাবে আমার কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে ও আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। ৭ই ডিসেম্বর দুপুরে নেংড়ার বাজারে আমার কর্মীদের উপর আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকারের নির্দেশে তার ভাই আঃ মোমিন সরকার, মোঃ মোনায়েম সরকার, চাচাত ভাই নয়ন সরকার, লিমন সরকার ও আব্দুল করিম মেম্বারের নেতৃত্বে আঃ রহমান, ওয়াজেদ আলী, বাবলু, লিমন, স্বাধীন সহ ২০/২৫ জন মিলে এ হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিন সরকার কে বার বার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল ওহাব জানান, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই প্রার্থীর সাথে নির্বাচনকালীন সময়ে যাতে কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তাদের সাথে মত বিনিময় করেছি। কোন প্রকার সহিংস ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।