অনৈতিক কর্মকান্ড ও উশৃংখল চলাফেরা থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মাতা মমতাজ বেগমকে। আবার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও চলছে মনমালিন্য। এসবে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম রকি। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন।সাইফুল ইসলাম রকি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালীর মৃত আব্দুল মতিন ও মমতাজ বেগমের ছোট ছেলে।পুলিশ সুপার জানান, নিহত মমতাজের স্বামী লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে বড় ছেলে বাপ্পিও ওই কার্যালয়ে চাকরি করছেন।
আরো বলেন, বাবা আব্দুল মতিনের মৃত্যুর পর মা মমতাজ বেগমের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও উশৃংখল চলাফেরা বাড়তে থাকে। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে মাকে একাধিকবার এগুলো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। তাতেও কোন ফল আসেনি, উল্টো ভাই ও মায়ের বকাবকিতে দূরত্বে বাড়ে পরিবারের সঙ্গে।
এসবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রকি। আর ক্ষিপ্ততা ও ঘৃণা থেকে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মমতাজ বেগমকে। পরে মরদেহ থেকে হা—পা খন্ডিত করা হয়।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিবস্ত্র অবস্থায় মমতাজ বেগম নামে এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মমতাজের মেয়ে রোজি আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর মডলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে পৌর শহরের মজুপুর এলাকা থেকে আটক করে। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয় রকি।
আপনার মতামত লিখুন :