Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

রায়পুর পৌর মেয়রসহ ৬ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার চাঁদা দাবির মামলা


প্রকাশের সময় : ২ সপ্তাহ আগে
রায়পুর পৌর মেয়রসহ ৬ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার চাঁদা দাবির মামলা

প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ভাংচুর ও হুমকী ধমকির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম। তিনি রায়পুর শহরের থানার মসজিদের পাশে নির্মাণাধীন একতা টাওয়ারের মালিক ও জেলার সাবেক সহকারি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপির দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (রায়পুর আমলী আদালত) বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মঞ্জুরুল আলম মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দির রুবেল ভাট সহ পৌরসভার কর্মচারিসহ অনুসারী ছয় জনকে আসামী করা হয়। অন্যরা হলেন, রায়পুর পৌর সভার কর্মচারি মহিউদ্দিন বিপু, আলম মিয়া, মোঃ সবুজ, মোঃ মাহমুদুন্নবী,ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আটিয়াতলীর বাসিন্দা মোঃ আবু তাহের সাগর।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন। যার মামলা নং সি আর ৩১৪/২০২৪ এবং বাংলাদেশ দন্ডবিধির৪৪৭, ৩৮৫,,৪২৭,৫৯৬(২) ধারায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী তার মামলার এজহারে উল্যেখ করেছেন, তিনি আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ডিজাইন তৈরি করে এবং রায়পুর পৌরসভা থেকে যথাযথ অনুমোদন নিয়ে রায়পুর-হায়দরগন্জ সড়কের থানার দক্ষিন পার্শ্বে নিজস্ব ভূমিতে সাবেক এক পুলিশ ক্রমকর্তার যৌথ উদ্যোগে একতা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।
বর্তমানে উক্ত ভবনের ছয় তলার ছাদের নির্মাণ কাজ চলছে। কিছুদিন থেকে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে বিবাদীরা তার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা তাকে ভবন নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে।
তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪ মার্চ মেয়রের নেতৃত্বে সকল বিবাদীরা নির্মাণাধীন টাওয়ারের স্থলে এসে বাদীকে খুঁজতে থাকে এবং দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে সীমানা প্রাচীর সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন।
বাদী এ ঘটনার বিভিন্ন মহলে অবহিত করলে তারা তাকে স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত রাখে। পরবর্তীতে তিনি ওমরা হ্বজ করার জন্য সৌদি আরব চলেযান। ফিরে আসার পরও এ ব্যাপারে কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি রবিবার দুপুরে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানেননা। আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবেনা।