Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে ইত্তেফাক—সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে ইত্তেফাক—সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দৈনিক ইত্তেফাকের রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন মস্তানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান সড়কে লক্ষ্মীপুর প্রসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপু প্রসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, কমলনগর প্রসক্লাবের সভাপতি এম এ মজিদ, ইত্তেফাকের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আবদুল মালেক, রায়পুর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর সুমন, রামগঞ্জ প্রসক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ফারুক ও যুগান্তরের রায়পুর উপজেলা সাংবাদিক তাবারক হোসেন আজাদ, কমলনগর প্রতিনিধি শাহরিয়ার কামাল, নয়াদিগন্ত সাংবাদিক মিজান মানিক
সাংবাদিক নেতারা বলেন, অবিলম্ভে ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাকিরের বিরুদ্ধ থানায় করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিকরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসনের আনোয়ার হোছাইন আকন্দের মাধ্যম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে এই মামলা প্রত্যাহার দাবীতে সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত এক স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লখ্য বিগত ২০২১ সালর ২৮নভম্বর রামগঞ্জ উপজলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর ভোট কেন্দ্র নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়। যাহা ২৯ নভম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রথম পাতায় “ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয় হত্যা” শিরানামে প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক জাকিরকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দমকি প্রদান করে হত্যাকারীরা। এ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বোন সানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ২২জনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়র করে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মাসুদকে পরদিন গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের ১৪দিন পর মাসুদ পুলিশ হেফাজতে ষ্ট্রোক করে ঢাকা মেডিকলে কলজ হাসপাতালে মারা যায়। পর ইত্তেফাক সংবাদ প্রকাশের জর ধরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামীদের প্রেরচনায় মাসুদের স্ত্রী আখি আক্তার বাদী হয়ে সাংবাদিক জাকিরকে প্রধান আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ ৬ মাস তদন্ত করে উক্ত মামলার সকল আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করে। ফের মামলার বাদীক আদালতে পুলিশের রিপোর্টের বিরুদ্ধেনারাজী দিলে আদালত মামলাটি পিবিআই নোয়াখালীকে তদন্তের আদেশ দেন।