লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের একটি পর্নোগ্রাফী আইনে দায়েরকৃত মামলায় আবিদ হাসান আকাশ (২৮) নামে এক যুবকের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আকাশ আদালতে উপস্থিত ছিল। এর আগে জামিনে মুক্ত ছিল সে। রায়ের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আকাশ চাঁদপুর সদর উপজেলার মধ্যম শ্রীরামান গ্রামের মৃত মনা হাওলাদারের ছেলে। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ বছর বয়সী এক নারীর সাথে আবিদ হাসান আকাশের ফেইজবুকে পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আকাশ চাঁদপুর থেকে লক্ষ্মীপুরে এসে ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতো।
২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি দুপুরে আকাশ চাঁদপুর থেকে এসে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ওই নারীর সাথে দেখা করে। বিয়ের প্রলোভনে সেখানে তারা শারিরীক সম্পর্ক করে। একই প্রলোভনে ওই বছরের ১২ মার্চ পুনরায় তারা শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়।
এ ফাঁকে আকাশ সেই মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও চিত্র তার মোবাইল ফোনে ধারন করে রাখে। পরবর্তীতে ওই নারী প্রেমিক আকাশকে বিয়ে করতে বললে সে টালবাহানা করে। এরপর একই বছরের ৪ জুন ওই নারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীকে বিয়ে করেন।
কিন্তু আকাশ তাকে আবারও দেখা করতে বলে। এতে অস্বীকৃতি জানালে আকাশ ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিওগুলো ওই নারীর স্বামী এবং শ্বশুরের ইমো নাম্বারে পাঠায়। বিষয়টি সে তার অভিভাবকদের জানালে তারা লক্ষ্মীপুরের র্যাব—১১ সদস্যদেরকে অবহিত করে। ২০২০ সালের ২০ আগষ্ট সকালে আকাশ ওই নারীর সাথে দেখা করতে লক্ষ্মীপুর পৌর শিশুপার্কের সামনে আসলে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওইদিন ওই নারী বাদি হয়ে আকাশকে আসামী করে পর্নোগ্রাপী আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২ মার্চ আবিদ হাসান আকাশকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে তার কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :