Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ৩ পদে নিয়োগ বানিজ্য : বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ৩ পদে নিয়োগ বানিজ্য : বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদরে চর মনসা ইসমাইল মেমোরিয়াল দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, কোনভাবেই নিয়োগ বানিজ্য করার সুযোগ নেই। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।
এর—আগে বিকেলে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ার বেড়ী এলাকায় ওই মাদ্রাসার মাঠে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জড়ো হয়ে অনিয়মের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে। একপর্যায়ে ডিজির প্রতিনিধিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিক্ষুব্ধ জনগণের তোপের মুখে মাদ্রাসা থেকে সটকে পড়ে মাদ্রাসা সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ ও সুপার মাকছুদুর রহমান। একপর্যায়ে অফিস কক্ষে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকেন ডিজির প্রতিনিধি। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি এসে ওই প্রতিনিধিকে উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদ্রাসাটির জন্য অফিস সহকারী একজন , নৈশপ্রহরী একজন ও আয়া পদে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। এ ৩টি পদে প্রায় ৩০টি আবেদন জমা পড়ে। (আজ) শুক্রবার সকাল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা চলে মাদ্রাসায়। বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে ধরা পড়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের সকল অনিয়ম ও দুনীতির চিত্র। যাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ভাল হয়েছে। তালিকায় তাদের নাম না রেখে সভাপতি ও সুপারের পছন্দের ৩ জন লোক তারা নির্ধারণ করে। এনিয়ে শুরু হয় অভিভাবক ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর প্রতিবাদ। একপর্যায়ে তোপের মুখে মাদ্রাসা থেকে কৌশলে সটকে পড়ে সভাপতি ও সুপার।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল জাহের মানিক ও অভিভাবক মিজানুর রহমান জানান, মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এ নিয়োগ চুড়ান্ত করার পাঁয়তারা করছে। আয়া পদে যে নারীকে নিয়োগ দেওয়া সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই নারীর কাছে থেকে সভাপতি ও সুপার দুই লাখ টাকা দাবি করছে। কিন্তু নারী ১লাখ টাকা দিয়েছে। এছাড়া বাকি দুইটি পদেও মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। আমাদের দাবি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
মাদ্রাসার সুপার মাকছুদুর রহমান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে মাদ্রাসার সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ জানান, যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি তারা ও তাদের অভিভাবকরা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। স্বচ্ছ নিয়োগ হয়েছে। এখানে অনিয়ম—দুনীতির কোন সুযোগ নেই। সরাসরি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব ও ডিজির প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার বিদ্যুৎশাহী সদস্য সাইফুল হাসান রনি জানান, মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হবে।