Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে স্বামী-স্ত্রীকে টয়লেটে আটকে রাখার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় : ২ years ago
লক্ষ্মীপুরে স্বামী-স্ত্রীকে টয়লেটে আটকে রাখার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেটে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

লোকলজ্জা ও ঘৃণা সহ্য না করতে পেরে টয়লেটের ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী মো. আমজাদ হোসেন। স্বামীকে বাঁচাতে টয়লেটের ভেতর থেকে আত্মচিৎকার দিতে থাকেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার। পরে আমজাদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে দুপুর ২ টার দিকে উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা টয়লেটের ভিতরে স্বামী-স্ত্রীকে আটকিয়ে রাখে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আমজাদের মা আয়েশা খাতুন ও মেয়ে লিপি আক্তার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান তাদের দুইজনকে পরিষদে তলব করে। বেলা ১১ টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিষদ কার্যালয় আসেন। চেয়ারম্যান ২টার পর পরিষদে এসে কারো কোনো কথা না শুনে গ্রাম পুলিশদের নির্দেশ দেন তাদের দুই জনকে টয়লেটে আটকিয়ে রাখতে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী-স্ত্রী জানান, আমাদের বিরুদ্ধে দাদি-নাতনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে চেয়ারম্যানের কাছে। চেয়ারম্যান তাদের কথা শুনছে। আমাদের কোনো কথা না শুনে আমাদের টয়লেটে আটকে রাখে। তাই এ লজ্জা কোথায় রাখবো? নিজেকে শেষ করে দিবো। ১১ বছর বিদেশ করলাম। সব টাকা মার একাউন্টে পাঠালাম। আজ তার পরিণতি।

এ বিষয় জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, স্বামী-স্ত্রীকে টয়লেটে আটকিয়ে রাখা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে দাদি-নাতনি অভিযোগ দিয়েছে তারা (স্বামী-স্ত্রী) ওদের মারধর ও নির্যাতন করে। ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশ দিবো বলছি। এ ঘটনা শুনে আমজাদ অভিনয় করে জ্ঞান হারিয়ে পেলে, হাসপাতাল গিয়ে ভর্তি হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ.কে.আজাদ বলেন, আমজাদ নামে এক ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থা হাসপাতাল আনা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মমিনুল হক মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয় কেউ পুলিশকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।