Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

শরীয়তপুরে নিরাপদ অভিবাসন কি, নিরাপদ অভিবাসনের ধাপ নিয়ে আলোচনা


প্রকাশের সময় : ২ years ago
শরীয়তপুরে নিরাপদ অভিবাসন কি, নিরাপদ অভিবাসনের ধাপ  নিয়ে আলোচনা

শরীয়তপুর: নিরাপদ, শৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ (এমআরসি) বাংলাদেশ শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-কে ইতোমধ্যে ফিঙ্গার ইম্প্রেশন মেশিন ও ল্যাপটপ প্রদান করেছে। যার মাধ্যমে শরীয়তপুর প্রবাস প্রত্যাশীদের দীর্ঘদিনের কষ্টের লাঘব হয়েছে । অথচ এই ফিঙ্গার ইম্প্রেশন বা আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য শরীয়তপুরবাসীকে যেতে হতো গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর বা ঢাকায়।

এছাড়াও নিরাপদ অভিবাসনের তথ্য সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমআরসি শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-কে সাথে নিয়ে গত ০৫-০৮ ডিসেম্বর পর্যন্তু বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমধ্যে প্রাক-বহি:গমন প্রশিক্ষণ পরিচালনা, অভিবাসী তথ্য কেন্দ্রের সেবা, যোগাযোগের উপায়, উঠান বৈঠক, বেসরকারী প্রশিক্ষন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সাথে অভিবাসন বিষয়ক আলোচনা, তথ্য প্রদান ইত্যাদি । ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এইসকল কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন সচেতনামূলক সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মতবিনিময় সভায় নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে মৌলিক তথ্য প্রদান, অভিবাসন আইন, অভিবাসন বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের ভুমিকা, দায়িত্ব-কর্তব্য, বিশেষ করে শ্রম অভিবাসন, নৈতিক এবং নিরাপদ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও বোঝার উপলব্ধি প্রসারিত করা।

০৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) এমআরসি বাংলাদেশ এসডিএস-এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে নিরাপদ অভিবাসন কি, নিরাপদ অভিবাসনের ধাপ, পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করা হয় । এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বোয়েসেল, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থিত শ্রম কল্যাণ উয়িং এবং বায়রার কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এছাড়া এমআরসি বাংলাদেশ টিটিসি সাথে নিয়ে আজ চররোসুন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ জন মহিলা ও পুরুষ নিয়ে নারী অভিবাসন নিয়ে একটি উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে নারী অভিবাসনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং নিরাপদ নারী অভিবাসনে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এই প্রোগ্রামগুলোর লক্ষ্য হলো সরকারী কর্মসূচীতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা, বিশেষ করে নিরাপদ অভিবাসনে বিশ্বস্ত এজেন্সীর মাধ্যমে এলাকার মানুষের সচেতনতা বাড়াতে তাদের ভুমিকা ও করণীয় চিহ্নিত করা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এস.এম জাহাঙ্গীর আকতার, অধ্যক্ষ, শরীয়তপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। তিনি এসআরসি বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি আরও বলেন দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে অর্থ ও সম্মান দুই’ই পাওয়া যায়। সকলকে তিনি দক্ষ হয়ে বিদেশে যাওয়ার আহবান জানান। তারা আরও বলেন এই ধরণের তথ্য প্রচার ও প্রসারে সব সময় নিরাপদ অভিবাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন শরীয়তপুর থেকে প্রচুর লোক বিদেশে যায়, আমরা তাদের কাছে অভিবাসনের এসব তথ্য তুলে ধরবো। এছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেই। সুতরাং, আমরা সকলে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের এসকল তথ্য সকলে বিভিন্নভাবে প্রচার করবো । এমআরসি বাংলাদেশের প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা তার উপস্থাপনায় বলেন যে, জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। তিনি এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি নিরাপদ অভিবাসনের বিভিন্ন আইন, বিধি ও নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৈধ অভিবাসনে চুক্তিপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও এমআরসি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মানব পাচার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অভিবাসনের নানা দিক সহ, অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলিসমূহ তুলে ধরেন।