লক্ষ্মীপুর শহরের ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এক বন্ধু ফেসবুক আইডি খোলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাকে আটক করা হয়। ১৫ মাসেও তার জামিন মেলেনি।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় ফয়সালকে জেলা শহরের চক মসজিদ রোডস্থ নিজদের মুদির দোকান থেকে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ১ মার্চ লক্ষ্মীপুর সদর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ফয়সাল আহমেদকে ১ নং আসামি করা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে আরো জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের বিষনু নগর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে ফয়সাল আহমেদের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত একটি মোবাইল নম্বর তার বন্ধু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোরশেদ আলম ব্যবহার করে তা দিয়ে ফেসবুক পেজ খোলে। ওই সীম থেকে মোরশেদ বিভিন্ন আইডির পোস্টে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে। পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের এসআই জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার এজাহারে আরো জানান, এ আইডি থেকে মোরশেদ কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১নং আসামি ফয়সাল আহমেদ বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে- তার নিজ নামীয় সিমের মাধ্যমে খোলা আইডি থেকে মোরশেদ বিভিন্ন আইডিতে লাইক শেয়ার কমেন্টস করতেন।
ফয়সালের বাবা হারুনুর রশিদ জানান, আমার ছেলে সবসময় ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। তার এক বন্ধু মোরশেদের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। ফয়সাল গ্রেফতারের পর জানতে পারি ওর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে খোলা আইডি থেকে মোরশেদ বিভিন্ন পোস্ট দিত। তিনি বলেন, এজহার অনুযায়ী সব অপরাধ মোরশেদ করলেও ১ নম্বর আসামি তাকে না করে অজ্ঞাত কারণে আমার ছেলেকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অপর দিকে ১৫ মাসেও আমার ছেলের জামিন না হলেও সম্প্রতি মোরশেদ আলম জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
ফয়সালের বাবা হারুনুর রশিদ আরো জানান, আমার ছেলে কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে জড়িত নয়- যা পুলিশ তদন্তে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে। তার প্রশ্ন অপরাধ স্বীকার করা মোরশেদের জামিন হলেও আদালত তার নিরপরাধ ছেলেকে এখনো কেন জামিন দিচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :