Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশের সময় : ২ years ago
লক্ষ্মীপুরে আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কাঠমিস্ত্রি আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ নয় বছর পর এই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ে খুশি বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি জানান, আদালতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। রায়ের সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

দ-প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মো. মুরাদ, জাকির হোসেন, মো. কামাল, আলমগীর হোসেন, মো. রিপন ও মো. নিশান। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। দ-প্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পরিবার ও এজাহার সূত্র জানায়, আহসান উল্যাহ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লার দোকানে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দ-প্রাপ্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও পিঠে আঘাত করেন। পরে চিৎকার করলে পেট ও পিঠে গুলি করেন তারা।

আহসান উল্যাহর ছেলে ও স্ত্রীসহ স্বজনরা ঘটনাস্থল গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। কিন্তু কাউকেই তারা চিনতে পারেননি। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্যাহর পাশে আসামিদের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

তাৎক্ষণিক আহসান উল্যাহকে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তখন মো. কামাল ও আলমগীর হোসেন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে এ দু’জনও পালিয়ে যান। এছাড়া একই এলাকার জামাল উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে প্রায় ৯ বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত।