Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে এসে খুন হন গৃহবধূ ,হত্যার পর মৃতদেহের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হন রফিক


প্রকাশের সময় : ২ years ago
লক্ষ্মীপুরে এসে খুন হন গৃহবধূ ,হত্যার পর মৃতদেহের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হন রফিক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পরকীয়া প্রেমের টানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এসে খুন হয়েছেন গৃহবধূ লায়লা নুর মজুমদার (২২)। সোহাগ হেসেন (২৮) ও রফিক নামে দুই বন্ধু মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার আগে পরকীয়া প্রেমিক সোহাগের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয় ওই নারীর। এ ছাড়া হত্যার পর মৃতদেহের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হন আরেক হত্যাকারী রফিক।
আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে ওই নারীর পরকিয়া প্রেমিক সোহাগের জবানবন্দিতে উঠে আসে এমন চা ল্যকর তথ্য।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেনের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয় আসামী মো: সোহাগ। সে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তার সহযোগী রফিকের বাড়িও একই এলাকায়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, গত ১৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরপলোয়ান গ্রামের গনি মিয়ার মালিকানাধীন একটি সুপারি বাগানে অর্ধগলিত অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অল্প সময়ের মধ্যেই তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ওসি আরও জানান, হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করে উক্ত ঘটনার মূল হোতা মো. সোহাগ হোসেনকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ আগস্ট) সে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। আসামী সোহাগ হোসেনের বর্ণনামতে- প্রেমের টানে আসামী সোহাগের সাথে ভিকটিম লায়লা বাড়ি থেকে বের হয়। আসামী সোহাগের বন্ধু রফিকের প্রলোভনে সোহাগ গৃহবধূ লায়লাকে রফিকের মামার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিয়ে আসে।
রফিকের মামার বাড়িতে আসামী সোহাগ ভিকটিম লায়লার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে রফিকের মামী তাদের ঘর বের করে দেয়। মামীর বাড়ি থেকে আসার সময় রফিক সুপারি বাগানের ভেতর দিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসার সময় সোহাগ ও রফিক মিলে ভিকটিম লায়লাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রফিক হত্যাকান্ডের পরেও ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। আসামী সোহাগ হোসেনের বর্ণনামতে হত্যাকান্ডটি গত ১৬ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে সংঘটিত হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লায়লা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর গ্রামের আবুল কাশেম মজুমদারের মেয়ে। সে ওই এলাকার আরিফুর রহমান নামে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী।
গত ১৬ আগস্ট সে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে লায়লার বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে রায়পুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আবুল কাশেম জানান, প্রায় ৫/৬ বছর আগে তার মেয়ে লায়লার বিয়ে হয়। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তাদের কোন সন্তান নেই লায়লা বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতো।
গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে তার মেয়ে চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর বাজারের একটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি।