Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে ডোবা থেকে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার


প্রকাশের সময় : ২ years ago
লক্ষ্মীপুরে ডোবা থেকে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি. লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী এলাকার একটি ডোবা থেকে সামিয়া আক্তার(১০) ও তার ভাই তাজমুল হোসেন(৭) এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রাত দুইটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দুই শিশুর বাবার নাম সুজন ঢালী। সদর উপজেলার চররমনী এলাকার চরমেঘা এলাকায় রাতে এঘটনা ঘটে। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।

শনিবার বিকেলে তিন সন্তান নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ির পাশের একটি দোকানে সদায় করতে যান কৃষক সুজন ঢালী। এরপর বড় সন্তানকে তার সঙ্গে রেখে দিয়ে ছোট দুই সন্তান সামিয়া আক্তার ও তাজমুল হোসনেকে নৌকায় উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে দেন। এসময় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হতে শুরু করে।

ডুবে যায় আশেপাশের বিস্তৃীর্ণ চর এলাকা। পরে অনেক সময় খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। এতে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক নেমে আসে। এ সময় নিহত দুই শিশুর শরীরে বিভিন্নস্থান থেকে রক্তক্ষরন হয়। পরে খবর পেয়ে শনিবার গভীররাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়র জানায়, সদর উপজেলার চররমনিমোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার নব্যার চরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন কৃষক সুজন ঢালি। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংদের সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সুজন ঢালীকে নানান হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো আক্কাছ ব্যাপারীসহ অন্যরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন স্বজনরা। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তারা।

নিহত দুই শিশুর বাবা সুজন ঢালী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংরা তার দুই সন্তানকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ১০ বছরের সামিয়া আক্তার ও সাত বছর বয়সের তাজমুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুইজনে ভাই ও বোন। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যা না দূর্ঘটনা সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।