অন্যদিকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলেও নদী দুপুর পর্যন্ত শান্ত রয়েছে। এজন্য রামগতি, কমলনগর, সদর ও রায়পুরে সকাল থেকেই মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা। ইলিশ শিকারীরা নদীতে নৌকা ভাসিয়েছে। আর বাগদা চিংড়ি রেণু শিকারে নদীর তীর এলাকায় জেলেরা মেতে উঠেছে। যদিও চিংড়ি রেণু শিকার অবৈধ ও আইনত দণ্ডনীয়।
রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুইদিন ধরে তারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষকে সচেতন করে আসছে। কিন্তু আবহাওয়া এখনো অনূকূলে থাকায় কেউই তাদের কথা শুনছে না। এখনো পর্যন্ত কেউই আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জেলে আবুল কাশেম মাঝি ও মোসলেহ উদ্দিন জানায়, বেড়িবাঁধ না থাকায় উপকূলীয় বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক থাকে। বেড়িবাঁধ থাকলে তাদের আর আতঙ্কিত থাকতে হতো না। নদীর ভাঙনে হাজার-হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এজন্য দ্রুত তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন মেঘনা উপকূলীয় বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে জেলা সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলাসহ মেঘনা উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা কাজ করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেবা নিশ্চিতের জন্য। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, আমি সকাল থেকে মেঘনা নদীর ফলকন, লুধুয়া, পাটারিরহাট ও মাতাব্বর হাট এলাকা পরিদর্শন করেছি। নদী শান্ত থাকায় সবখানেই জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত রয়েছে। এ মুহুর্তে নদীতে গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে উঠিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে জেলেদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমদ বলেন, রামগতি ও কমলনগরে নদী তীর রক্ষা বাঁধের জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। এটি শেষ হলে লোকজন সুরক্ষা পাবে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :