লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় বছরের শিশু শিক্ষার্থী তাহসীন ও আরিফ হোসেন নামে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ওই শিক্ষার্থী ও একই সময়ে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের রাখালিয়া এলাকায় বাসের ধাক্কায় অন্যজন নিহত হয়।নিহতদের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত তাহসীন স্থানীয় চরমনসা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ও ভবানীগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত অন্যজন আরিফ হোসেন পৌর শহরের দেনায়েতপুর এলাকার মোহাম্মদ মুন্না হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি শেষে মায়ের সঙ্গে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিলেন শিশু তাহসীন হোসেন। ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশে এসে সিএনজিঅটোরিকশা থেকে নামছিলেন মা ও ছেলে তাহসিন হোসেন। এসময় রামগতি থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা একটি গ্যাসবাহী পিকআপভ্যান মায়ের হাতে থাকা শিশুটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। উত্তেজিত জনতা পিকআপটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
এদিকে একই সময়ে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের রাখালিয়া নামক এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এসময় আরিফ হোসেন নামের যুবক নিহত হন। নিহত আরিফ হোসেন বাজারের ব্যবসা করতেন। দুপুরে গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আনতে দোকান থেকে বের হন। পরে রাখালিয়া এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জসিম উদ্দীন ও শিপন বড়ুয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভবানীগঞ্জের শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় পিকআপটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে যায়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :