Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়ক ছয় মাস ধরে বিচ্ছিন্ন


প্রকাশের সময় : ২ years ago
কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়ক ছয় মাস ধরে বিচ্ছিন্ন

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়ক গত ছয় মাস ধরে বিচ্ছিন্ন। চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় এখন সকল প্রকার যানবাহন যাতায়াত বন্ধ। এ পথে পায়ে হাটাও কষ্টসাধ্য। স্থানীয় সাহেবেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জনবহুল এই বেহাল সড়ক এড়িয়ে চলাচল করছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করেন পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের রাস্তা দিয়ে। এদিকে, চরম ভোগান্তিতে আছেন শত শত পরিবার। সীমাহীন দুর্ভোগেও মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকেই দোষছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ২০১১ সালের পরে সাহেবেরহাট ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হয়নি। কৌশলে ভোট বন্ধ রেখে বছরের পর বছর শাসন ও শোষন করে আসছেন বর্তমান চেয়ারম্যান। এখানকার মানুষ যতই দুঃখ-কষ্ট ও দুর্ভোগে থাকুক চেয়ারম্যানের কেনো ব্রুক্ষেপ নেই। তিনি বসবাস করেন হাজিরহাট ইউনিয়নে। চলাচল করেন ফলকন ইউনিয়নের রাস্তা দিয়ে। নিজ ইউনিয়নের রাস্তা মেরামতে তার কোনো উদ্যোগ নেই। জানা গেছে, গত জুন মাসে অস্বাভাবিক জোয়ারে মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়কের একটি অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। ওই সড়কের একটি কালবার্টের মুখের অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে যাতায়াতে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। এখানে অসুখে পড়লে কাউকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকের উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে নেওয়া যাচ্ছে না। শিশুরা স্কুলেও যেতে পারছেনা। রাস্তা না থাকায় ওই এলাকায় ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতেও রাজি হয় না অভিভাবকরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কের পূর্বপাশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। কালবার্টের উঠার ডালাই করা রাস্তাটাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালবার্টের বিভিন্ন অংশ। প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা ভাঙাচোরা এবং ভাঙনে সরু হয়ে গেছে। রাস্তাটি যানবাহন চলাচল অনুপযোগী। এখন সবাই পায়ে হেটেই চলাচল করে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটির পশ্চিম পাশ প্রস্তুত করে এবং খাল পাড়ের অংশে গাইউ ওয়াল নির্মাণ করে জিও ব্যাগ স্থাপনা করলে চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন কুমার বলেন, রাস্তার এই বেহাল দশার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন; কিন্তু এরমধ্যে কয়েক মাস চলে গেছে রাস্তা মেরামত হয়নি। সাহেবেরহাট ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জানালেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি; বলেন বরাদ্দ আসেনি। ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে জরুরী ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব। সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, সড়ক মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, বেহাল সড়কের বিষয়টি তার নজরে আছে। সামনের বরাদ্দে মেরামত করা হবে।