Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

খোলা আকাশের নিচে দিন পার, রাত কাটে অন্যের বাড়িতে


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
খোলা আকাশের নিচে দিন পার, রাত কাটে অন্যের বাড়িতে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
বসতঘর পুড়ে যাওয়ার জন্য ২০দিন পার হলেও মেরামত করতে পারেনি ১২ দিনমজুর পরিবার। দিন পার হয় খোলা আকাশের নিচে আর রাত কাটে অন্যের বাড়িতে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কেরোয়া ইউপির ২নং ওয়ার্ড দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের মান্তি বাড়ীর ফারুখ হোসেন। তিনি দিনমজুর নুর হোসেন রিংকুর ছেলে। কেরোয়া মোল্লারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বড় ভাই ফাহিম সরকারি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। দুই ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি এক বোনসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বে তাদের দু’ভাই।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাশের বাসায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে পুড়ে যায় ফারখ ও ফাহিমের পরিবারসহ ওই বাড়ীর ১২টি পরিবারের সব কিছু। আগুনে পুড়ে গেছে দুই ভাই ফারুখ ও ফাহিমের মত ১৫ জন শিক্ষার্থীর জমানো টাকাসহ জামা—কাপড় ও সকল বইপত্র।ঘটনার ২০ দিন পর শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে পোড়া ঘরটিতে সামিয়ানা টাঙ্গানো আর নিচে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র। যুগান্তরের প্রতিবেদককে দেখে বাড়ীর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এগিয়ে এসে কেঁদে কেঁদে ঘটনর বিবরন দেন আর বড় নিশ্বাসফেলেন।দিনমজুর মোঃ রুবেল ও শরিফ হোসেন বলেন, ‘জামা—কাপড় ও আসবাবপত্রের সঙ্গে সন্তান সব বই পুড়ে গেছে। খবর শুনে ঘটনার তিন দিন পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এডঃ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন প্রশাসনের মাধ্যমে জনপ্রতি সাড়ে চার হাজার টাকা ও দেড় বান করে টিন দিয়েছেন। এলাকার বিত্তবানরা প্রায় দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ মারুফ বিন জাকারিয়া ঘর করে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।

রায়পুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ মারুফ বিন জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বন্ধু ও বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আপাতত দুইজনকে এবং পর্যায়ক্রমে সবাইকে ঘর দেয়ার ব্যাবস্থা করা হবে।ফারুখ ও ফাহিমের বাবা নুর হোসেন রিংকু বলেন, ‘একটা টিনের ঘর তৈরি করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাগে। তাই অর্থ জোগানের চেষ্টা করছি। এডঃ মারুফ এখন দুটি ঘর করে দিবেন। প্রর্যায়ক্রমে অন্যদের করে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন।ইউএনও অনজন দাশ বলেন, এমপির উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদেরকে পরিষদের পক্ষ্য থেকে নগদ টাকা ও ঢেউটিন দেওয়ার কথা জানান তিনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘অগ্নিকাণ্ডে ১২ পরিবারের সব পুড়ে গেছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এমপিসহ অনেকে তাঁদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান।