লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১৫ হাজারে রফা করার চেষ্টা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ওই প্রকৌশলীকে।
মো. নাহিদ নামের ওই প্রকৌশলী কাজ করতেন ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডে।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক মাস থেকেই নাহিদ শিশুটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। গত রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাতাব্বর হাট ব্লক কারাখানায় নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা চালায় নাহিদ। তখন স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় নাহিদ। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাটি ছাত্রীর পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেন সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে তার কাছ থেকে লিখিত নিয়েছে চেয়ারম্যান। ১৫ হাজার টাকা দেবে বলে তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছে।
সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আমি ছাত্রীর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তবে তিনি বিষয়টি চাপা দিতে কাউকে কোনো চাপ দেননি এমনকি কোনো টাকাপয়সাও দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন।
ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. বোরহান বলেন, ‘নাহিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সে কর্মস্থল থেকে চলে গেছে। টাকা দিয়ে ঘটনা রফাদফা করা হয়নি।’
স্থানীয় একজন গার্ডের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই নাহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :