Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

নিষেধাজ্ঞার পর মেঘনায় জেলেদের ব্যাপক উপস্থিতি, পোয়া মাছে জেলেদের মুখে হাসি


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞার পর মেঘনায় জেলেদের ব্যাপক উপস্থিতি, পোয়া মাছে জেলেদের মুখে হাসি

সারোয়ার হোসেন, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
মেঘনা অববাহিকায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর নদীতে পাওয়া যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পোয়া মাছ। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মাছ ধরতে পারায় খুশি জেলেরা। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বালুরচর, আলেকজান্ডার, চরআলগী, বিবিরহাট, রামগতি বাজার এবং টাংকি মাছঘাট ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। প্রতিটি মাছ ঘাটেই ক্রেতা—বিক্রেতা ও গদি মালিকদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। একুশ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ঝিমিয়ে পড়া মাছ ঘাটগুলো এখন দিনরাত চব্বিশ ঘন্টায় সরগরম।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারদের পাশাপাশি খুচরো গ্রাহকও আসছেন পোয়া মাছ কিনতে। ২৫ থেকে ৩০কেজি ওজনের প্রতি ক্যারট (ঝুঁড়ি) পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। নিলামের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে দামাদামি করেও কেনা যায়।
রামগতি বাজার মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী শহিদুল, মোবারক হোসেন এবং জেলে সুমন ও শামিম জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পোয়া মাছ বেশি ধরা পড়ছে। মেঘনা নদীর নামার দিকে এবং বঙ্গোপসাগরের আশপাশে সবচেয়ে বেশি পোয়া মাছ ধরা পড়ছে।
জেলেদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ভোরের দিকে যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যার আগে ফিরে আসলে গড়ে ১০ থেকে ১৫ ক্যারট মাছ ধরা পড়ে। ঘাটে ক্রেতা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। বড় ধরনের ফিশিং ট্রলারগুলো পোয়া মাছ ধরায় আগ্রহ না থাকায় মধ্য মানের ট্রলার বা নৌকা গুলোয় মূলত পোয়া জাল পাঁতছেন নদীতে। নোয়াখালীর সূবর্ণচর থেকে আসা শাহরিয়ার জানান, অভিযানের পর এসেছিলাম ইলিশ মাছ কিনতে। কিন্তু বাধ্য হয়ে পোয়া মাছ কিনতে হয়েছে। দামও বেশ সস্তা পেয়েছি।
অন্যদিকে, প্রচুর পরিমানে পোয়া মাছ ধরা পড়ায় উপজেলার বিশটি বরফকলও বরফ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে। দেখে মনে হবে প্রতিটি বরফ কলই যেন এক একটি পোয়া মাছের গুদাম।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি পরিমান পোয়া মাছ ধরা পড়ছে। আমরা উপজেলার প্রতিটি মাছ ঘাট পরিদর্শন করেছি। মাছ সংরক্ষন ও বিপনন কার্যক্রম বিষয়ে জেলেদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।