Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

রামগতিতে ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে


প্রকাশের সময় : ৮ মাস আগে
রামগতিতে ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

সংবাদদাতা: ধান চুরির মামলায় লক্ষ¥ীপুর রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।আজ রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ আসামিদের কারাগারে পাঠান।

অন্যান্য আসামিরা হলেন আদনান আমিন, ফরহাদ হোসেন, ইফতেখার হোসেন শাওন, নুরুল আমিন, অজি উল্যাহ, খোরশেদ আলম, নোমান পাটওয়ারী ও সফি উল্যাহ। তারা রামগতি উপজেলার চরসীতা ও কমলনগরের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা আত্মীয়-স্বজন। মামলার বাদী জাহানারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন তার চাচা। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রবিবার আদালতে মামলার শুনানির পূর্ব-নির্ধারিত সময় ছিল। এদিন ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমির ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে গেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য ছিল প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়।

এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর লীনা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।