Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

রায়পুরের কাঁচাবাজারগুলোতে মূল্য তালিকা নাই: কাঁচামরিচ ২’শ টাকা!


প্রকাশের সময় : ২ years ago
রায়পুরের কাঁচাবাজারগুলোতে মূল্য তালিকা নাই: কাঁচামরিচ ২’শ টাকা!

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর):
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাসহ উপজেলার ২৮টি কাঁচাবাজারের কোথাও লেখা নেই কাঁচাবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য তালিকা। আড়তগুলো থেকে কাঁচামরিচ ১৬০-১৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
এছাড়া বাজার মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি বেগুন ও কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, পটর ১৫ টাকা ও ফুলকপি ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এ চিত্র রোববার রায়পুর শহরে মুড়িহাটা ও আলিয়া মাদরাসা সড়ক। প্রতিদিনই এমন সমস্যা-ঝামেলা সহ্য করেই পণ্য-দ্রব্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
পৌরসভার কাঁচাবাজারের মূল্য তালিকা তো নাই-ই সব কাঁচাবাজারের মূল্য তালিকা একই অবস্থা। প্রতিদিনই মনগড়া ও বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুচরা বাজারে ক্রেতারা যেন সঠিক মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এ উদ্দেশেই ইউএনও-এসিল্যান্ডের উদ্যোগে মূল্য তালিকা বোর্ড লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
রোববার (২৪ জুলাই) রায়পুর শহরে সরজমিন কাঁচাবাজারে দেখা যায়, কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, আলু ৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, রসুন ৪০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
জাবেদ নামের এক কাঁচাপণ্যের বিক্রেতা জানান, পৌরসভা থেকে কোন মুল্য তারিকা দেয়া হয়না। মূল কারণ আড়তদারদের কাছ থেকে দোকানিরা পাইকার থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করেন। অবশ্য ক্রেতাদের সুবিধার্থে পৌরসভা এ ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতা উপকৃত হতো। সবাই ঠকছে।
আলিয়া মাদরাসা সড়কের কাঁচাবাজারে কাঁচাপণ্যের ক্রেতা ফরহাদ বলেন, পৌরসভা থেকে একটি মার্কেট রয়েছে। অথচ কোন মূল্য তালিকা নেই। মূল্যের কথা দোকানিদের বললে তারা গুরুত্ব দেন না। নিজেদের ইচ্ছেমত মুল্য নিয়ে থাকেন।প্রধান সড়কে কাঁচাবাজার করে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম বলেন, পন্য মূল্যের তালিকা দিলে খুবই ভালো হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হতে হবে। এজন্য দরকার কঠোর নজরদারি।
রায়পুর পৌরসভার সচিব আবদুল কাদের বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে ৪টি পাইকারি বাজার রয়েছে। মূল্যে তালিকা দেয়ার দরকার। বিক্রেতারা বাজারগুলোতে এক প্রকার ডাকাতি করছেন। বিক্রেতারা সবসময় চেষ্টা করেন পণ্যের দাম বেশি রাখার। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে দামের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা উচিত। এবিষয় বাজারব্যবস্থাপনা কমিটি দেখভাল করে। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, রায়পুরের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন কাচাঁ বাজার, নতুন বাজার, জনতাবাজার, রাখালিয়া বাজার, হায়দরগঞ্জ বাজার, মীরগঞ্জবাজার ও বাসাবাড়িবাজার, খাসেরহাটবাজার, মোল্লারহাটবাজারসহ বিভিন্ন বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কোনো ক্রেতাই এ বোর্ডের ওপর আস্থা রাখেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা ও পাইকারি কোন মূল্যে দেওয়া হয়নি। বাজারগুলোতে কোনো মূল্য তালিকা নেই। বিক্রেতারা তাদের আড়তে যে দাম নির্ধারণ করে দেন সেই দাম দিয়েই পণ্য কিনতে হয় ক্রেতাদের। সাধারণ মানুষের অভিযোগ ও প্রশ্ন কেউ শুনেনা।