Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লক্ষ্মীপুরে স্বামীর যাবজ্জীবন


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লক্ষ্মীপুরে স্বামীর যাবজ্জীবন

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে সুমন উদ্দিন (৩৭) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কেঁৗসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। ঘটনার পরদিন গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সুমন রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে ও পেশায় চা দোকানি ছিলেন।
খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, হত্যার ঘটনার প্রায় সাত বছর আগে সুমন নরসিংদী জেলা সদরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় নরসিংদীর শিলমাদ্রী ইউনিয়নের বাগহাটা গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে নীলার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পালিয়ে বিয়ে করে সুমন তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা যাওয়ার জন্য বাস ভাড়া চাওয়ায় সুমনের সঙ্গে নীলার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সুমন তাকে মারধর করেন। নীলা বায়না ধরেন তাকে টাকা দিতেই হবে। ঘুমের মধ্যে নীলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সুমন।
পরে পরনের কাপড় খুলে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। ঘটনার পরদিন নীলার ভাই মাহবুব মিয়া বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা করেন। একইদিন সুমনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, নীলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে গলায় কাপড় পেছানো হয়েছে। তদন্তকালে ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে। একই বছর ২৭ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) অলি উদ্দিন আদালতের সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।