Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে স্কুল শিক্ষকে পিলারে সাথে নির্যাতন


প্রকাশের সময় : ২ সপ্তাহ আগে
লক্ষ্মীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে স্কুল শিক্ষকে পিলারে সাথে নির্যাতন

প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে আক্তার হোসেন বাবু নামে এক স্কুল শিক্ষককে বিদ্যুৎতের খুঁিটঁর সাথে বেঁেধ বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে বখাটেরা। নির্যাতনের ঘটনায় ১৪ এপ্রিল (রোববার) রাতে স্থানীয় পেচা সুমনসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন নির্যিিতত স্কুল শিক্ষকের ভাই মাসুদুর রহমান। এর আগে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে জেলাজুড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া নামক এলাকায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিক্ষককে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর আহত শিক্ষক সদর উপজেলার লাহারকান্দির মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।

পুলিশ ও নির্যাতিত শিক্ষক এবং স্বজনরা জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িয়ে বেড়াতে আসেন স্কুল শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু। শুক্রবার রাতে শহরের আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোটভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়বেটিস থাকায় রাতে হাটতে বের হন আক্তার হোসেন বাবু। এসময় পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন,অটোরিকসা চালক আলাউদ্দিন আলো,মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০/১২জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চোর অপবাধ দিয়ে বিদ্যুৎতের খুটিঁর সাথে হাত-পা বেধেঁ ফেলে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরে হাত-পা বেধে র্ববর নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ১৬ সেকে›টের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে খুঁিটর সাথে হাত-পা বেধেঁ বর্বর নির্যাতন করছে পেচা সুমন। এসময় পাশে বেশ কয়েকজন যুবক বিষয়টি দাড়িয়ে দেখছে। নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বখাটেদের গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

নির্যাতিত শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু বলেন, মাস্টাস পাশ করার পর ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছি। ঈদে বেড়াতে আসি। ছ্টো ভাইর বাসায় যাই। শুক্রবার রাতে স্থানীয় বখাটেরা আমাকে চোর অপবাধ দিয়ে খুঁটির সাথে বেধেঁ বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে। স্কুল-কলেজ ও চাকুরী জীবনেও কখন কারো সাথে অন্যায় করিনি। অথচ আমাকে চোর অপবাধ দিয়ে নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতিত শিক্ষকের ভাই মাসুদুর রহমান বলেন, একটি সভ্য দেশে এই ধরনের বর্বর নির্যাতন কোনভাবে মেনে নেয়ার মতো নয়। ভাইকে যেভাবে হাত-পা বেধেঁ নির্যাতন করা হয়। এঘটনায় থানায় ১২জনকে আসামী করে অভিযোগ দিয়েছে। এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বখাটেদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, আক্তার হোসেন বাবুকে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থায় সর্ম্পকে বলা যাবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।