Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুরে স্কুলে হামলা চালিয়ে ৩ শিক্ষককে মারধর


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে স্কুলে হামলা চালিয়ে ৩ শিক্ষককে মারধর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে স্কুলের ভেতর হামলা চালিয়ে ৩ শিক্ষককে বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৯৯৯—এ কল পেয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মা মনি আইডিয়াল স্কুল থেকে ওই শিক্ষকদের উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালী নুর নবীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে আহত শিক্ষক শাহজাদা বেগম, মেয়ে নুসরাত সুলতানা মিশু ও ছেলে মো. আজিমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তিনজনই একই স্কুলের শিক্ষক। গ্রামের শিক্ষার মান উন্নয়নে তারা বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, শিক্ষার্থীরা সকালে প্রতিষ্ঠানের মাঠে খেলাধুলা করছিল। এ সময় প্রতিষ্ঠানের পাশের ধান ক্ষেতে কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়ে যায়। এতে ধান গাছের ক্ষতি হয়। এনিয়ে ক্ষেতের মালিক নুর নবীর স্ত্রী খালেদা বেগম প্রতিষ্টানে গিয়ে শিক্ষক শাহজাদা বেগমের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। খবর পেয়ে নুর নবীসহ তার ছেলে রিপন ও রিয়াজ এসে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হামলা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে ওই তিন শিক্ষককে মরধর করা হয়। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পেঁৗছে আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে। সরকারি রেজিষ্ট্রিভুক্ত বিদ্যালয়টিতে ১ম থেকে প ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

শাহজাদা বেগম জানান, ২০১৮ সালে এলাকার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়টি কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর থেকেই একটি চক্র এটি বন্ধের জন্য পাঁয়তারা করে আসছে। সামান্য ঘটনা নিয়ে নুর নবী তার ছেলেদের নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। বাধা দিতেই গেলেই তারা আমাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
অভিযুক্ত নূর নবী জানান, শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শিক্ষক শাহজাদার কয়েকটি রাজ হাঁস তার ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এনিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষিকার হাতাহাতি হয়। কেউ তাদেরকে মারধর করেনি।
সদর মডেল থানার পুলিশের (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ঘটনাটি জানা নেই। খেঁাজ নেওয়া হবে।