লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঐক্যমঞ্চ থেকে প্রচারণার ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ভোটে নৌকার পক্ষে অপপ্রভাব বিস্তার সহ নানাভাবে ভোটারদের অধিকারহরণের আশংকায় তা প্রতিরোধ করতে ঐক্যমঞ্চে প্রচারণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এ ইউপিতে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আবদুল খালেক বাদল। রবিবার রাতে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের নিয়ে ভবানীগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হালিম মাষ্টার (মোটর সাইকেল) এর নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমান (রজনীগন্ধা ফুল) ও সাইফুল হাসান রনি (চশমা) উপস্থিত থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ঐক্য মঞ্চের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এসময় তারা জানান, ঐক্যমঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের সাথে আরও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে অপর চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচনে অপপ্রভাব বিস্তার ও সহিংসতার আশংকায় নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ রয়েছেন বলে জানান তারা। এদিন একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পৃথক প্রতীকে নিজেদের জন্য ভোট চাইলেন ওই তিন স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
এসময় উপস্থিত ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীদের প্রত্যেকে এলাকার উন্নয়নে ভিন্ন ভিন্ন কথায় প্রতিশ্রুতি উপস্থাপন করলেও নির্বাচনে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় অভিন্ন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন। এছাড়া ভোটে বাধামুক্ত নির্বিঘ্ন পরিবেশ সংরক্ষণে এক হয়ে ভূমিকা রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এসব প্রার্থীরা। মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাষ্টার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে যোগ্য ব্যক্তি থাকা স্বর্তেও জনবিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ্যদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ফলে আমরা ৬ জন প্রার্থী একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হবো।
এ ইউনিয়নে যেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবে সে যেন সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। কিন্তু নৌকা প্রতীকের যিনি প্রার্থী আছেন, তিনি চোরাই পথে প্রতীক এনেছেন, আবার চোরাই পথে অসৎ পন্থায় চেয়ারম্যান হতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমরা ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছি। কোনভাবেই জনগণের ভোট চুরি করে কাউকে চেয়ারম্যান হতে দেব না। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার্থে প্রয়োজনে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিতে রাজি আছি।
আপনার মতামত লিখুন :