Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুর রায়পুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত—২০, আটক—৫


প্রকাশের সময় : ১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুর রায়পুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত—২০, আটক—৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোঃ রাসেল হোসেন (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আহত হয়েছে পুলিশসহ আরো ২০জন । এসময় থানার ও দুই ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন এবং আ’লীগ নেতাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট এলাকায় মেঘনা নদীর পাড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত কিশোর মোঃ রাসেল (১৪) দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরকাচিয়া গ্রামের বেপারি বাড়ির ভুট্রো বেপারির ছেলে।
আটককৃতরা হলেন, চরবংশী ইউপির আ’লীগের যুগ্মসাধারন সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী শাহজালাল রাহুল। তিনি কাছিয়ার চর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সদরের খিলবাইচা গ্রামের জাকারিয়া, পর্ব নন্দনপুর গ্রামের সোহাগ, কাছিয়ার চর মোঃ সুমন ও বৃদ্ধ মিনা বেপারি।।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে আ’লীগ নেতা রাহুল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলােমের গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এদিকে, বুধবার দুপুরে মেঘনার ওপারে টুনুরচরে একটি ব্রীজ উদ্ধোধন করার কথা রয়েছে স্থানীয় সাংসদ এডঃ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের। সকাল থেকে রাহুলের গ্রুপ ও নজরুল ইসলামে গ্রুপ নদীর পাড়ে এমপিকে বরন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
এসময় তুচ্ছ ঘটনায় কথাকাটির এক পর্যায়ে রাহুলের মাছ ঘাটের ম্যানেজার ফারখ কারিকে মারধর করে নজরুলের ইসলামের শ্যালকসহ লোকজন। এতে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ লেগে যায়। এসময় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২০ জন মারাত্ম আহত হয়। ঘটনাস্থলেই ইউপি সদস্য নজরুলের ভাতিজা মোঃ রাসেল নিহত হয়।। আহতদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় আ’লীগ নেতা শাহজালাল রাহুল বলেন, এমপি সাহেব নদীর ওপাড়ে টুনুর চরে ব্রীজ উদ্ধোধন করবেন বলে তাকে বরন করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের শ্যালক আমার মাছ ঘাটের ম্যানেজার ফারুক কারিকে মারধর করে। আমি শুনে ঘাটে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে। আমি ওই কিশোরকে খুন করিনি।
এঘনায় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, মেঘনার নদীর ওপারে টুনুর চরে আমার তত্বাবধানে নির্মান করা ব্রীজ উদ্ধোধন করবেন এমপি সাহেব। সেজন্য আমার লোকজন মাছ ঘাটে অপেক্ষা করছিলো। কিন্তু এর আগেই রাহুলের লোকজন মারামারি করে আমার ভাতিজাকে খুন করেছে। আমি বিচার চাই। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রায়পুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত)জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন থানার পুলিশ ফটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি। আমি ও ৪ পুলিশসহ ১৫—২০ জন আহত হয়েছি। নিজেদের মধ্যে কোন্দলে কিশোর খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। আমরা আ’লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলসহ ৫জনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নদীর পাড়ে মিয়ারহাট স্থানে অতি: পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।