Ad Space 100*120
Ad Space 100*120

লক্ষ্মীপুর রায়পুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর-লুটপাট, আহত-৩০


প্রকাশের সময় : ২ years ago
লক্ষ্মীপুর রায়পুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর-লুটপাট, আহত-৩০
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই গ্রামবাসীর দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেড়িবাঁধের দুই পাশে বসবাস করা ৭ জেলের বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং ইঞ্জিনচালিত ১টি নৌকাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন জেলে ও দিনমজুর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর জখম মোঃ জামাল, মোঃ কাউছার, মোঃ ওভিসহ ১০ জনকে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সরকারি হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে ও রোববার সকাল ও দুপুরে  উপজেলার উত্তর চরবংশি ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের কুচিয়ামারা ও নাইয়াপাড়া গ্রামের গ্রামবাসীর মধ্যে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক বা মামলা করা হয়নি বলে ওসি জানান। দুই গ্রামের থমথমে অবস্থা বিোজ করছে।
আহতরা হলেন, মোঃ হাদিস, মোঃ মামুন, মোঃ সিপন, ফারুখ হোসেন, বাবুল বেপারি, মোঃ সিপন, সিরাজ বেপারি, মহিম, মামুন দেওয়ান, মঃ ওভি, মোঃ আলম, কাউছার হোসেন, মোঃ জামাল, রাকিব হোসেন, বাদশা দেওয়ান, নুরা বেপারি, আশ্রাফ হোসেন, হযরত হাওলাদার, আবুল হোসেন ,মোস্তফা মাঝি, সফিক বকসি, মোঃ ফারুখ, আরিফ সর্দার, ইদ্রিস আলী ডালি, কাশেম বেপারি, জালাল হোসেন, সাওয়াদ আলীসহ ৩০ জন।।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহতরা জানান, রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কুচিয়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪২’শ ভোটার তাদের ভোট দিতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার সময় মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গির (মোড়গ), ফকরুল (পানির কল) ও মফিজ দেওয়ানের (ফুটবল) কর্মীদের মধ্যে জাল ভোট দেয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গির ও ফখরুলের কর্মীরা একত্রিত হয়ে মফিজ দেওয়ানের কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়।।এসময় ১০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ,  র্যাব ও বিজিবি ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। পরে উভয় পক্ষের ৫ জনকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর জের ধরে সোমবার বিকাল ৪টার সময় ক্ষুদ্ধ বিজয়ী মেম্বার জাহাঙ্গির হোসেনের কর্মীরা প্রতিদ্বদ্ধি প্রাথী মফিজ দেওয়ানের নাইয়াপাড়া গ্রামের বেড়িবাঁধের দুই পাশে বসবাস করা ৭ কর্মীর বসতঘর কুপিয়ে ভাংচুর চালায়। এসময় বাধা দিলে প্রায় ২০ জনকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের মধ্য গুরত্বর জখম ওভি, আলম, কাউসার ও মোঃ জামালের হাত, পা, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করে ডাক্তার।
এঘটনায় বিজী মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গির ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী তারা একে অপরের বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এঘটনায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টার, ওসি ও দুই মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আগামি বুধবার উভয়পক্ষে নিয়ে পরিষদে বৈঠকে মিমাংসা করে দেয়া হবে।।।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, রোববার নির্বাচনে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবারও উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। কোন পক্ষের লোক আটক করা হয়নি এবং মামলাও করেনি। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাটি মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে কুচিয়ামারা গ্রামে ফাঁড়ি পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।